'আহা এ কেমন নাটক ' পকেট কমিটি দেখলো ঝাড়ু জুতা , আটকে দিলো বিএনপি কার্যালয় ! Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




‘আহা এ কেমন নাটক ‘ পকেট কমিটি দেখলো ঝাড়ু জুতা , আটকে দিলো বিএনপি কার্যালয় !

‘আহা এ কেমন নাটক ‘ পকেট কমিটি দেখলো ঝাড়ু জুতা , আটকে দিলো বিএনপি কার্যালয় !




 

স্টাফ রিপোর্টার: বরিশাল ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটি নিয়ে নিজ দলে দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করেছে। পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিরাগভাজন হয়েছেন। বিশেষ করে সেই ক্ষোভের আগুন জলে উঠেছে রোববার (১৯ আগস্ট) রাতে কমিটি ঘোষণা আসার পরপরই। যে কারণে বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধদের একাংশ তালাও ঝুলিয়ে দিয়েছে। সেই সাথে রাজনৈতিক অভিভাবক কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়াকেও তুলোধুনা করা হচ্ছে। এমনকি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদককেও বিষাদগার করা হচ্ছে।

এমন বাস্তবতায় অভিযোগ রয়েছে- বরিশাল জেলা ও মহানগরের ঘোষিত এই কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে বিএনপি নেতা সরোয়ারের আস্থাভাজনরাই মূলে রয়েছে। মূলত সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। কারণ মাহফুজুল আলম মিঠু নামে যে ব্যক্তিকে জেলা কমিটির সভাপতি করা হয়েছে তাকে বিগত সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে দেখা যায়নি। এমনকি তিনি বরিশালের ছাত্র রাজনৈতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য কোন ভুমিকাও রাখেন নি। তবে শোনা যাচ্ছে- তিনি অধিকাংশ সময়ে রাজধানীতে বরিশাল বিএনপির অভিভাবক সরোয়ারের সাথে অবস্থান করেন।

এছাড়াও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সন্তান মিঠু বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি সরোয়ারের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবেও কাজ করছেন। মূলত এই বিশেষ কারণেই সরোয়ার তার পক্ষে সুপারিশ রাখায় সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হওয়ার বিষয়টি তরান্বিত হয়। তাছাড়া ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসানও তাকে নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। কারণ এই দুই নেতা একই এলাকার বাসিন্দা। সেক্ষেত্রে এখানকার পদবঞ্চিত নোতাকর্মীদের অভিব্যক্তি হচ্ছে- কেন্দ্রীয় নেতা রাজিব আহসান আগামীতে মেহেন্দিগঞ্জ হিজলা আসনে সাংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। মূলত সেই নির্বাচনে শক্তি সামর্থ যোগানোর বিষয়টি অনুমানে নিয়েই নিজ এলাকার ছেলেকে মনোনীত করেছেন।

এই জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসানও বরিশালের রাজনীতিতে অপরিচিত মুখ। তাছাড়া সিনিয়র সভ-সভাপতি তারেক আল ইমরান ও যুগ্ম সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরানকেও বিগত সময়ে মাঠে থাকতে দেখা যায়নি। তবে এই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ী আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রভাগে ছিলেন। এমনকি সেই রাজপথে সাহসী পদক্ষেপ রাখতে গিয়ে তিনি বেশ কয়েকবার কারাবরণও করেছেন। যে কারণে তার পদটি নিয়ে কোন বিতর্ক না থাকলেও সোহেল রাঢ়ী তুষ্ট নন।

কারণ তিনি চেয়েছিলেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে। ফলে এই কমিটিকে বৈধতা দিতে তিনি অসমর্থ বলে জানিয়েছেন। এই নেতার মতে জেলা পুরো কমিটিটি পকেট কমিটি হিসেবে আখ্যায়িত করতে হচ্ছে। অপরদিকে মহানগর কমিটির সভাপতি পদে রেজাউল ইসলাম রনি নামে যাকে রাখা হয়েছে তাকে নিয়েও রয়েছে ঢের বিতর্ক। বরিশার শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি এই রনি সাবেক ছাত্রনেতা রাফসান আহম্মেদ জিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। তাছাড়া সাধারণ সম্পাদক মহানগরের এই কমিটিতে হুমায়ুন কবির নামে যাকে মনোনীত করা হয়েছে তিনি বরিশাল শহরের সন্তান নন। এমনকি তার বাসাবাড়িও সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নে। ফলে তাকে নিয়েও বিতর্কের কমতি নেই। পদবঞ্চিত কেউ কেউ দাবি করছেন কবির বরিশাল শহরের ভোটারও নন। তবে দলীয় কর্মসূচিতে তার অবস্থান থকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সেক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে- যোগ্যতা বিবেচনায় তাকে কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। এই কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি তারিকুর ইসলাম তারিক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক তছলিম বিগত সময়ে মাঠে থাকায় তাদের নিয়ে আলোচনা সমালোচনা কম রয়েছে। তবে কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মাহামুদুল হাসান তানজিলকে অনেকেই মাদক বিক্রেতা হিসেবে মিডিয়ার কাছে তুরে ধরছে। তবে খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে- মহানগরের এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আরিফুর রহমান মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আনিছুর রহমান জনি অধিষ্টিত হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বয়স বিবেচনায় তাদেরকে রাখা হয়নি বলে শোনা যাচ্ছে।

একইভাবে জেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে সাইফুল ইসলাম সুজন এবং সাধারণ সম্পাদক সোহেল রাঢ়ী আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সুজনকে কমিটিতে না রাখা হলেও সোহেল রাঢ়ীকে এই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়ছে। বিশেষ করে ত্যাগি নেতা সুজন বদবঞ্চিত ও সোহেল রাঢ়ীকে অবমূল্যায়ন করার বিষয়টি ভালভাবে নেয়নি কর্মী সমর্থকরাও। কমিটি ঘোষণায় ক্ষুব্ধ সুজন ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।

একইভাবে সোহেল রাঢ়ীও এই কমিটি মেনে নিতে নারাজ থাকার বিষয়টি অবহিত করে বলছেন- নেতা সরোয়ার স্বৈরাচ্চারি এরশাদের রুপ ধারন করেছেন। ফলে এখানকার নেতাকর্মীরা খুব্ধ হয়ে রাজপথে নেমে পতিবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিএনপির কার্যালয়টি গভীররাতে তালাবদ্ধ করে দিয়েছে।

এমতাবস্থায় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা ঘোষিত কমিটি বাতিলের আহবান জানিয়েছেন। তবে পদধারী নেতারা বলছেন কেন্দ্রীয় নেতারা সকল কিছু বিবেচনা করেই কমিটি ঘোষণা দিয়েছে। এই কমিটির বিরোধিতা না করে বরং তদের সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন।’

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD